ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ইমরান খানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকা অত্যন্ত রক্ষণশীল বলে পরিচিত। সেখানেই ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর একটি মিছিলে এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার মরদান শহরের সাওয়াল ঢের এলাকায় ছিল পিটিআইয়ের সমাবেশ। সেখানে সমাপ্তি প্রার্থনা পরিচালনার জন্য ডাকা হয়েছিল নিগার খান নামে একজনকে। প্রার্থনার অন্তিম লগ্নে নিগার ধর্মদ্রোহমূলক কিছু মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। তা শুনেই খেপে ওঠে জনতা। নিগার কোনও রকমে সভা ছে়ড়ে পালাতে সক্ষম হলেও জনতা তাঁর পিছু ছাড়েনি। ধাওয়া করে ইমরান সমর্থকেরা পৌঁছে যান নিগারের এক আত্মীয়ের বাড়িতে। নিগার প্রাণের ভয়ে সেই বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন। তার পর বাড়িতে ঢুকে চলে গণপিটুনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিগারের। জনতার রুদ্রমূর্তির সামনে পুলিশ অসহায় হয়ে পড়ে।
জেলার পুলিশ সুপার নাজিব-উর-রহমান জানিয়েছেন, জনতা এমনই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিল যে খুনের পর নিগারের দেহ উদ্ধার করতে পর্যন্ত পুলিশকে বেগ পেতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘একদল মানুষ লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে নিগারকে মেরে ফেলে।’’
জানা গিয়েছে, ইমরানের ডাকে সমাবেশ হলেও সভায় ইমরান নিজে হাজির ছিলেন না। তবে তাঁর দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পিটিআইয়ের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। ইমরানও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।