রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু কাজ হয়নি তাতে। শেষ চেষ্টা হিসেবে আজ আদালতে যাচ্ছেন তিনি। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে (গাসিক) মেয়র পদে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশায় হাইকোর্টে আপিল করবেন সাবেক এই মেয়র। এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আজ ইসির মুখোমুখি হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খান। ইসি তাঁর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে কী ব্যবস্থা নেবে, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন আজমত।
গাজীপুর নগরীতে গতকাল থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর ঢাকামুখী হওয়া। আজ ঢাকায় হাইকোর্ট ও ইসিতে কী হচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে আছেন আজমত-জাহাঙ্গীরের কর্মী-সমর্থকেরা। চায়ের দোকানে, আড্ডায়-অফিসে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে, উচ্চ আদালতের আজকের আদেশ ও ইসির সিদ্ধান্তের পরই পাল্টে যেতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি। ইসি যদি আজমত উল্লা খানের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয় অথবা জাহাঙ্গীর আলম যদি হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পান, তাহলে বদলে যাবে নির্বাচনী পরিবেশ। জাহাঙ্গীর আলম একটি খেলাপি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার হয়েছিলেন। এ জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেন। পরে তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করেন। কিন্তু আপিলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশই বহাল রাখেন।
জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, আজ নিজের মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার আশায় বিভাগীয় কমিশনারের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জাহাঙ্গীর। তাঁর আশা তিনি উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা ফিরে পাবেন।