দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে আগেই আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছিল পুলিশ। কিন্তু এমন রাতে সেসব বাধায় কান দেয় কজন! খেলা শেষ হতেই আতশবাজির আলোয় উদ্ভাসিত হলো নেপলসের রাতের আকাশ। ম্যাচটি ছিল উদিনিসের মাঠে। তবে শেষ বাঁশি বাজার পর উদিনে শহর থেকে উচ্ছ্বাসের ঢেউ আছড়ে পড়ল ৮০০ কিলোমিটার দূরে নেপলসে। চারপাশ প্রকম্পিত করে বাজি পুড়তে থাকল, রাতের আকাশে দেখা গেল রঙের খেলা। মানুষের চিৎকার, গান আর স্লোগান মিলিয়ে নেপলস যেন উৎসবের নগরী। সমর্থকদের হাসি, উল্লাস আর আনন্দের কান্না যেখানে মিলেমিশে একাকার।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল নেপলসবাসী। ইতালির ফুটবলে মিলান-তুরিনের মতো অভিজাত শহরের ক্লাবদের দাপটে বরাবরই কোণঠাসা নাপোলিকে সেই আশির দশকে মাথা তুলে দাঁড়াতে শিখিয়েছিলেন দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা নামের এক রূপকথার নায়ক। অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে দলকে উপহার দিয়েছিলেন ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯-৯০ সিরি আ শিরোপা। তার পর থেকেই আরেকটি শিরোপার অপেক্ষায় ছিল এই ক্লাব, এই শহর আর সমর্থকদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম।