এই গরমে কেন কাঁচা আমের শরবত খাবেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৪ মে ২০২৩, ১১:০৫

বেশ গরম পড়েছে এবার। অতিরিক্ত ঘাম, অতিমাত্রায় কাজের চাপে সঠিক সময়ে পানি খেতে না পারার জন্য দেহে তৈরি হচ্ছে পানিশূন্যতা। এই গ্রীষ্মে পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আমের শরবত বেশ উপকারী। কাঁচা আম ভিটামিন সি–তে ভরপুর। ভিটামিন সি সর্দি লাগা, অতিমাত্রায় হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, জ্বর জ্বর প্রভৃতি ঠান্ডা গরমজনিত শরীর খারাপ লাগার বিরুদ্ধে কাজ করে। ত্বক, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, নখের ভঙ্গুরতা রোধ করে ভিটামিন সি।


এ ছাড়া কাঁচা আমের মধ্যে উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ পাওয়া যায়। সব বয়সের মানুষের চোখের পুষ্টির জন্য ভিটামিন এ ভীষণ জরুরি। কাঁচা আমের শরবতে পানি, লবণ অথবা চিনি থাকে। পানি আমাদের দেহের পানিশূন্যতা দূর করে। রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শরবতের লবণ মানে হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। খাবার লবণ আমাদের দুর্বলতা কমিয়ে রক্তের মধ্যে লবণের ঘাটতি কমায়। রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি করে।


কাঁচা আমে আছে পলিফেনল নামের একধরনের খাদ্য উপাদান, যা ক্ষত ও কাটাছেঁড়া শুকাতে ভূমিকা রাখে। ক্যানসারের কোষগুলোকে দুর্বল করে। কাঁচা আমের মধ্যে জিংকের উপস্থিতিও দেখা যায়। জিংক রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি ও ক্ষুধামান্দ্য কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা আমের মধ্যে ম্যাংগিফেরিন নামের গুরুত্বপূর্ণ একধরনের খাদ্য উপাদান রয়েছে। ম্যাংগিফেরিন একধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা আমাদের রক্তের চর্বি বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।


যাদের লিভারে চর্বি জমেছে, তাদের জন্য টক ফল, বিশেষ করে, কাঁচা আম ভীষণ উপকারী। রক্তনালিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে কাঁচা আম। পরিণামে হৃৎপিণ্ড সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে।


কাঁচা আমে রয়েছে আঁশজাতীয় উপাদান, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে। দূর করে বদহজম। কাঁচা আমের রস আমাদের রক্তে খাবার হজমে সাহায্য করে, এই ধরনের কিছু এনজাইমের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কাঁচা আমের মধ্যে আয়রন ও ক্যালসিয়াম আছে, যা গর্ভবর্তী নারীসহ সব বয়সের মানুষের জন্য ভীষণ উপকারী।


তবে যাদের খুব বেশি অ্যাসিডিটি হয়, তারা কাঁচা আমের শরবত সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খেতে পারেন। রাতের বেলা টক খাবার হজমে অনেকের সমস্যা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us