গত মাসে টিভি চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচারের মধ্যেই কুখ্যাত গ্যাংস্টার ও ভারতের পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য আতিক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি আধুনিক গণতন্ত্রে কেমন করে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে সে বিষয়ে উদ্বেগজনক বিতর্কের জন্ম হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া খুনিদের সঙ্গে ভারতের গোটা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাও এখন কার্যত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে।
আতিক আহমেদ একটি অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়ে জেলে ছিলেন এবং চাঁদাবাজি–খুনসহ বহু অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা বিচারাধীন ছিল। ঘটনার দিন, আতিককে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জেলখানা থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।
হাসপাতালের গেটের সামনে পুলিশ ভ্যান থেকে বের হওয়ার পর হাতকড়া পরা আতিক আহমেদকে টেলিভিশন ক্যামেরাগুলো ঘিরে ধরে এবং সাংবাদিকেরা চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন।
এদের মধ্যে ‘সংবাদমাধ্যম কর্মী’ হিসেবে আসা তিন ব্যক্তি আচমকা বন্দুক বের করেন এবং সবার সামনে আতিক ও তাঁর ভাইকে গুলি করে হত্যা করেন। ভিকটিমরা মাটিতে পড়ে যখন তড়পাচ্ছিলেন তখন ক্যামেরা ধরা লোকগুলোকে ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছিল।