ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে অরক্ষিত উপকূল

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০২ মে ২০২৩, ০৭:৩৪

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই খুলনার কয়রা উপজেলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন ধরে। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। নষ্ট হয় ঘরবাড়ি, ফসল। চলতি বছর বর্ষার আগেই কয়রার শাকবাড়িয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছেন পাঁচ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের বিষয়টি বারবার জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তাঁরা শুধু আশ্বাস দেন। ধসে যাওয়া বাঁধ মেরামতে কেউ উদ্যোগ নেন না। তবে জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের জানালে তাঁরা নানা টালবাহানা করেন।


পাউবো খুলনার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রোমিত হোসেন মনি বলেন, ‘আমরা কয়রার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। বর্ষা মৌসুমের আগে ওই সব জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হবে।’


পাউবো সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসের পর উপজেলার ২১টি জায়গায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা হয়। পাশাপাশি ২০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে মাটি ও বালুর বস্তা ফেলে সংস্কার করা হয়। বর্তমানে সাত কিলোমিটারের বেশি সংস্কারকাজ চলমান। তবে এখনো ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে আছে।


এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি ও পাউবোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলার ৬ নম্বর কয়রা, ৪ নম্বর কয়রা রিং বাঁধ, ঘাটাখালী, হরিণখোলা, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট–সংলগ্ন এলাকা, মঠবাড়িয়া, ২ নম্বর কয়রা, হোগলা, গাজীপাড়া, গোলখালী, হাজতখালী, জোড়শিং ও মহেশপুর এলাকার প্রায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীতে পানি বাড়লে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীতে পানি সরবরাহের আটটি জলকপাট (স্লুইসগেট) অকেজো পড়ে আছে। শাকবাড়িয়া নদীর নয়ানী ও সুতিয়া বাজার-সংলগ্ন জলকপাটটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us