শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭–এর তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ক্ষেত্রে ঝুঁকিভিত্তিক প্রবিধান গ্রহণ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। গতকাল রোববার জাপানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তাঁরা এ বিষয়ে একমত হন।
ইউরোপীয় আইন প্রণেতারা চ্যাটজিপিটির মতো উদীয়মান প্রযুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে নিয়ম প্রয়োগ করার জন্য একটি ‘এআই আইন’ প্রবর্তন করার জন্য তাড়াহুড়ো করেছেন। এর মধ্যেই জি–৭–এর ডিজিটাল মন্ত্রীরা ঝুঁকিভিত্তিক প্রবিধান প্রণয়নে সম্মতির কথা জানালেন।
জি-৭-এর ডিজিটাল মন্ত্রীরা দুই দিনের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এআই প্রযুক্তির বিকাশের জন্য এ ধরনের প্রবিধান গ্রহণ করা হলেও তার জন্য একটি উন্মুক্ত এবং সক্ষম পরিবেশ সংরক্ষণ করা উচিত এবং প্রবিধান গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। তবে তাঁরা স্বীকার করেছেন, বিশ্বস্ত এআইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ–সংক্রান্ত নীতিমালা জি–৭ দেশগুলোর মধ্যে আলাদা হতে পারে।
গোপনীয়তার উদ্বেগ এবং নিরাপত্তাঝুঁকির মধ্যেও কীভাবে জি-৭–এর জোটের দেশগুলো এআইকে পরিচালনা করবে, তা নিয়ে করা চুক্তিটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্গ্রেথ ভেস্টেগার বলেন, ‘জি–৭–এর বৈঠকের শেষে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এ ক্ষেত্রে আমরা একা নই।’