পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে লঞ্চযাত্রী কমে যাবে, তা আঁচ করা যাচ্ছিল। কিন্তু তার প্রভাবে যে বেকার হওয়ার দশায় পড়তে হবে, এমনটা ভাবেননি হাজার লঞ্চ শ্রমিক।
নদীপথে লঞ্চে বরিশাল থেকে ঢাকায় ১৬৮ নটিক্যাল মাইল যেতে যেখানে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়; সেখানে সড়কপথে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাসগুলো প্রায় ১৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করছে মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায়।
ভাড়ার পার্থক্য আকাশ-পাতাল না হওয়ায় সময় বাঁচাতে লঞ্চের চেয়ে বাসের প্রতি দিনে দিনে আগ্রহী হয়ে উঠছে বরিশালের মতো পটুয়াখলী, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনাসহ দক্ষিণবঙ্গের নদীবেষ্টিত অধিকাংশ জেলার মানুষ।
স্বাভাবিকভাবেই সড়কপথে ‘উন্নয়নের’ আঘাত লেগেছে দশকের পর দশক ধরে যাত্রী পরিবহনে সেবা দিয়ে যাওয়া নৌপথের শত শত শ্রমিকের জীবনে। বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে তারা পেশা পরিবর্তন করছেন। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। আর যাদের বয়স বেশি তারা বেকার হয়ে যাচ্ছেন।