দিনাজপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী ঘাগড়া খালের পাড় ঘেঁষে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও সংস্কারকাজ করা হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। উচ্ছেদ ও সংস্কারকাজ শেষে খালের উভয় পাড়ে লাগানো হয়েছিল বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছ। খালের স্বচ্ছ পানিতে দেখা মিলেছিল বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছের।
কিন্তু সেই খাল আগের অবস্থায় ফিরে যেতে শুরু করেছে। খালে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। উচ্ছেদ হওয়া স্থানে পুনরায় বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। অস্তিত্ব নেই খালের উভয় পাড়ে লাগানো এক তৃতীয়াংশ গাছপালার। সামনে বর্ষা মৌসুমে পানিনিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়ে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে—এমন আশঙ্কা শহরবাসীর।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দিনাজপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘাগড়া খালের দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৫৫-৬০ ফুট। খালটি দিনাজপুর শহরের মির্জাপুর বাস টার্মিনালের উত্তর দিকের নিচু এলাকা থেকে শুরু হয়ে বালুবাড়ি, চুড়িপট্টি, বাঞ্ছারামপুর, বড়পুল, কসবা, ঘুঘুডাঙ্গা হয়ে পুনর্ভবা নদীতে মিশেছে।