জেনোসাইড বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন ‘আইএজিএস’ সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা যে জেনোসাইড চালিয়েছিল, সেটার স্বীকৃতি দিয়েছে। এই স্বীকৃতির জন্য আইএজিএস-এ ২০২১ সালে আবেদন জানিয়েছিলেন শহীদ-সন্তান ড. তৌহিদ রেজা নূর। তাঁর আবেদন ও প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ এপ্রিল প্রস্তাবের ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রদত্ত ২১৮টি ভোটের মধ্যে ২০৮ জন বাংলাদেশের পক্ষে ভোট প্রদান করেন। অবশ্য একাত্তরের জেনোসাইড নিয়ে এটাই প্রথম স্বীকৃতি নয়।
আমরা জানি, একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রশ্নে তৌহিদ রেজা নূরসহ আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের পুত্র ও দেশের শীর্ষ সারির জেনোসাইড গবেষক। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন।
ড. তৌহীদেরই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে আরেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘জেনোসাইড ওয়াচ’ একাত্তরের নৃশংসতাকে জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাসের আহ্বান জানায়।
গত বছরের ২৪ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রচেষ্টার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব সাইটস অব কনসেন্স (আইসিএসসি) একাত্তরে বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংসতাকে জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।