ঢাকা মহানগরীর দুই কোটির বেশি মানুষ একটি বিরাট ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছেন। নগরীর মাটির তলায় জালের মতো ছড়িয়ে আছে সাত হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ গ্যাসের পাইপলাইন। মেয়াদোত্তীর্ণ ও জরাজীর্ণ এ পাইপলাইন যে কোনো সময়ে বিস্ফোরিত হলে সারা শহরে আগুন ধরে যেতে পারে। গ্যাস পাইপলাইনে আগুন যদি একবার লাগে, তাহলে শহরের ভিআইপি-ধনী-দরিদ্র কেউ রেহাই পাবেন না। হয় পুড়ে মরবেন, না হয় গুরুতর দগ্ধ হবেন।
গত ২৪ এপ্রিল রাতে ঢাকার এক বিরাট এলাকাজুড়ে যা ঘটে গেল, সে প্রসঙ্গেই আমার এ আশঙ্কার কথা বলছি। সেদিন ছিল সোমবার। রাত ১১টার মতো। শহরের উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকের বিস্তীর্ণ জনপদে হঠাৎ তীব্র গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। মগবাজার, ইস্কাটন, রামপুরা, দিলু রোড, মহাখালী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, পূর্ব রাজাবাজার, বাড্ডা ও হাজারীবাগ এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার আতঙ্কিত মানুষ ৯৯৯ নম্বরে অথবা ফায়ার ব্রিগেডে ফোন করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং দেখে ঘটনা সত্য।
তারা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানায় এবং ব্যবস্থা নিতে বলে। বেশ কিছুক্ষণ এ অবস্থা চলার পর তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলে, ‘গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা চাপ কমিয়ে দিয়েছি। ধীরে ধীরে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ রাত ১২টার পর এক ফেসবুক পোস্টে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানায়, ‘ঈদে শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বা ওভার ফ্লো হওয়ায় গ্যাসের গন্ধ বাইরে আসছে।’