শব্দদূষণ বলতে এমন একটি শব্দকে বোঝায় যা বিরক্তিকর। শব্দদূষণের মূল উৎস হলো যানবাহন, ট্রেন, প্লেন, মিউজিক সিস্টেম, বাজি ফোটানো, মাইকিং ইত্যাদি।
শব্দকে প্রধানত একটি দূষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি শ্রবণের স্বাভাবিক প্রবাহ বা স্বাভাবিক শ্রবণশক্তিকে ব্যাহত করে। শব্দদূষণ শুধু বিরক্তির কারণই নয় বরং শারীরিক বিভিন্ন ব্যাধিরও মূল কারণ হতে পারে।
আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস। শব্দদূষণ, শব্দদূষণের ক্ষতিকারক দিকসমূহ, শব্দদূষণ রোধে করণীয় সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করা ও সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য তুলে ধরা এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘প্রোটেক্ট ইয়োর ইয়ার, প্রোটেক্ট ইয়োর হেলথ’। সম্প্রতি ঢাকার শব্দদূষণের মাত্রা নিয়ে গবেষণা করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার সব এলাকাতেই শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ তে উল্লেখিত আদর্শমান অতিক্রম করেছে শব্দের মাত্রা। নগরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণভাবে শব্দের গ্রহণযোগ্য মানমাত্রার থেকে প্রায় ১ দশমিক ৩ থেকে ২ গুণ বেশি শব্দ পাওয়া গেছে।