হার্ট অ্যাটাকের জরুরি সেবা

সমকাল অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৩১

হার্ট অ্যাটাক একটি আকষ্মিক হৃদরোগ। দেখা যায়, সুস্থ-সবল মানুষ, হয়তো দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, হঠাৎ করেই একদিন হার্ট অ্যাটাক হলো। বুকের মাঝখানে হঠাৎ ব্যাথা হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ। কখনও তীব্র ব্যাথা হয়। কখনও মনে হয়, কেউ  বুকটাকে চাপ দিয়ে ধরেছে। বুকে প্রচণ্ড ভার মনে হতে পারে। বুকের ব্যথা ঘাড়, কাঁধ, চোয়াল, বাম হাত বা পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বুকে ব্যথা যখন বিশ্রামেও কমে না, দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় অথবা তীব্রতা বাড়তে থাকে, সঙ্গে শরীর ঘামা, বমি অথবা বমিভাব হয়, তখন হার্ট অ্যাটাক সন্দেহ করা উচিত। এমন অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে হবে। শুধুমাত্র দ্রুত হাসপাতালে না যাওয়া এবং চিকিৎসার বিলম্বতায় অনেক হার্ট অ্যাটাকের রোগীর পথে মৃত্যু হয়। অনেক রোগী হার্ট ফেইলর এবং অস্বাভাবিক মাত্রার কম রক্তচাপ বা ‘শক’ নিয়ে এমন সময় হাসপাতালে আসেন, যখন পুরো চিকিৎসাই জটিল হয়ে পড়ে।


আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি সহ অনেক আন্তর্জাতিক হৃদরোগ গবেষণা সংস্থার তৈরি হার্ট অ্যাটাক চিকিৎসার নির্দেশিকা রয়েছে। এসব নির্দেশিকা মতে, হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় কোনো রকম কালক্ষেপণ করা যাবে না। এখানে প্রত্যেকটা মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট অ্যাটাক সন্দেহ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসায় সময়ের হিসেব করতে হবে মিনিট কষে।


ইসিজি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যেখানে ইসিজি হয়, রোগীকে যত দ্রুত সেরকম জায়গায় নেওয়া যাবে, তত দ্রুত রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে। বুকে ব্যাথার সঙ্গে শুধু ইসিজির পরিবর্তন দেখে ‘স্টেমি’ হার্ট অ্যাটাক নির্ণয় করা যায়। এ অবস্থায় রোগীকে ওখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা এবং হার্টের রক্তনালীতে জমাট রক্ত তরল করার জীবন রক্ষাকারী ওষুধ প্রয়োগ করতে পারলে হার্ট অ্যাটাক জনিত অনেক জটিলতা এড়ানো যায়। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ স্পষ্ট বোঝা গেলে এবং নিকটস্থ হাসপাতালে পৌঁছাতে বেশি দেরি হলে গন্তব্যপথে তাৎক্ষণিক মোট ৩০০ মিলিগ্রাম এসপিরিন ট্যাবলেট এবং ৩০০ মিলিগ্রাম ক্লোপিডোগরেল ট্যাবলেট একসঙ্গে রোগীকে খাওয়ানো যেতে পারে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us