সোমবার ২৪ এপ্রিল। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবস। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আকস্মিক খবর এলো– রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বাতাসে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গন্ধের মাত্রা ভয়াবহ। চারদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত। কোনো কোনো এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিংও করা হচ্ছে। এ খবর সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে টিভি চ্যানেলে। শঙ্কিত মানুষের ফোনকলের চাপ বাড়ছে পুলিশের ট্রিপল নাইন নম্বরে। পুলিশ সদস্যরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যাসের বিকট গন্ধ পাচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকও বেরিয়ে পড়েছেন। খবর শুনে কিছুটা অবাক হলাম। দীর্ঘকাল গ্যাস-বিদ্যুৎ নিয়ে লেখালেখি করি। সংগত কারণে এ-বিষয়ক খবরের প্রতি আগ্রহ একটু বেশি।
এমনিতে ঢাকায় এখন আগুন আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ, গরমকালে আগুনের ঘটনা বেশি ঘটে। সম্প্রতি বঙ্গবাজারসহ বেশ কয়েকটি ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ভবনে আগুনের কারণ হিসেবে গ্যাস লিকেজকে দায়ী করা হচ্ছে। ফলে এই গ্যাস নিয়ে ভীতি আছে নগরবাসীর মনে।
তবে গ্যাস লিকেজ নতুন কোনো খবর নয়। গ্যাস ব্যবহারকারীরা ভালোভাবে শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। রাজধানীসহ আশপাশ এলাকায় হাজার কিলোমিটার গ্যাস সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইন আছে। এই লাইন ক্ষেত্রবিশেষে ৪০ বছরের পুরোনো। মাটির নিচে এই পাইপে অসংখ্য ছিদ্র, যে ছিদ্র দিয়ে মাঝেমধ্যে কোথাও কোথাও গ্যাস বের হয়। গন্ধ পেয়ে কেউ অভিযোগ করলে সরকারি সংস্থা তিতাসের লোকজন গিয়ে সেটি মেরামত করে দেন। এটি খুবই সাধারণ ঘটনা।