সরকারি- বেসরকারি নানা পদক্ষেপের পরও গত এক বছরে লাফিয়ে বেড়েছে মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে রোগী শনাক্তের হার ছিল আড়াই গুণ বেশি। বর্তমানে দেশের ১৩ জেলার ৭২ উপজেলায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। তবে বান্দরবানের তিন উপজেলায় প্রাদুর্ভাগ বেশি। মোট শনাক্তের ৮৫ শতাংশই এ তিন উপজেলায়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচিতে ধীরগতি, রোগী শনাক্তে গতানুগতিক উপায়ে নির্মূল কার্যক্রম পরিচালনা, আন্তঃসীমান্ত সমন্বয়হীনতা, পার্বত্য উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী পৌঁছাতে জটিলতা, অধিক বৃষ্টিপাত, পাহাড়-বনাঞ্চলবেষ্টিত পরিবেশ, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা কারণে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এতে ১৩ জেলার ৭২ উপজেলায় এ রোগের বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছে না। ম্যালেরিয়া নির্মূলে উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে ১৮ হাজার ১৯৫ জনের শরীরে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়। এর আগের বছর ২০২১ সালে সারাদেশে ৭ হাজার ২৯৪ জনের দেহে এ ভাইরাস পাওয়া যায় (আড়াই গুণ বেশি)। তবে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল আগের বছরের মতোই, অর্থাৎ মৃত্যু হয়েছে ১১ জন করে।