চৈত্রের শেষ থেকে চলমান তাপপ্রবাহ জনজীবনে যে ভোগান্তি নিয়ে এসেছে, তার আঁচ লেগেছে মৌলভীবাজারের চা বাগানেও।
কয়েক দিন ধরে থার্মোমিটারে পারদ উঠতে থাকায় চা গাছের ‘কুঁড়ি বাড়ছে না’, কোথাও আবার পুরো গাছটিই পুড়ে গেছে। তাতে অন্য সময়ের তুলনায় চা পাতা আহরণও ‘অর্ধেকে’ নেমে আসার কথা বলছেন শ্রমিকরা।
বুধবার শ্রীমঙ্গলের ভুরভুরিয়া চা বাগানসহ কয়েকটি বাগান ঘুরে গেছে, বাগানের বিভিন্ন সেকশনে মাঝে মাঝে একটি-দুটি করে গাছ মরে গেছে। নতুন আসা কুঁড়িগুলো এক সপ্তাহ ধরে থমকে আছে, কোথাও ঈষৎ হলুদ বর্ণ ধারণ আবার পাতা ঝিমিয়ে পড়েছে।
ভুরভুরিয়া চা বাগানে কাজ করছিলেন শ্রীমতি রিকিয়াশন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এই সময়ে সারা দিনে যেখানে ২৫ থেকে ৩০ কেজি পাতা তোলার কথা, সেখানে পাতা উঠছে ১০ থেকে ১২ কেজি। ফলে দৈনিক ১৭০ টাকা হাজরির (মজুরি) জন্য যে ২৪ কেজি পাতা বাধ্যতামুলকভাবে তুলতে হয়, সেটিও পূরণ হচ্ছে না।
আরেক চা শ্রমিক বাসন্তী জানান, প্রচণ্ড রোদে সারাদিন কাজ করেও মেলাতে পারছেন না তাদের হাজরি।
মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিস্তৃত অঞ্চল দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।