শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরের ছুটি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ করতে বেশিরভাগ মানুষ ছুটছেন গ্রামে। রাজধানী ঢাকা এরই মধ্যে ফাঁকা হতে শুরু করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চিরাচরিত যানজট না থাকলে ও বাস টার্মিনাল এবং ট্রেন স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় এরই মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেশ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনও নাশকতা এবং হামলা মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স কমান্ডো টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভার্চুয়াল জগতে যেকোনও গুজব এবং উস্কানিমূলক তথ্য প্রতিরোধেও প্রয়োজনীয় সাইবার মনিটরিং জোরদার রাখা হয়েছে।
র্যাব বলছে, গোয়েন্দা তথ্য সাইবার মনিটরিংসহ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনও ধরনের নাশকতা পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি দেশব্যাপী আগুনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে ঈদের ছুটি কেন্দ্র করে বিশেষ নজরদারি রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ঈদের ছুটিতে বাসা বাড়ি এবং মার্কেট ফাঁকা থাকার কারণে কোথাও কেউ যেন কোনও ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সুযোগ না পায় সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশের প্রতিটি মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং প্রতিটি থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট এরিয়ায় মার্কেট এবং বাসা বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল, শপিংমলে চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে।