কিছু খাবার আছে যেগুলোর স্বাদ বদলানোর প্রয়োজন হয় না। দই বুন্দিয়া সেরকমই । ঈদের দিন সকালে বা বিকেলে নাশতায় থাকতে পারে পুরোনো দিনের দই বুন্দিয়া। রেসিপি দিয়েছেন সেলিনা আখতার।
দই বুন্দিয়া
বুন্দিয়ার উপকরণ: বেসন ১ কাপ, পানি ৬ থেকে ৮ কাপ, বেকিং সোডা সিকি চা–চামচ, বেকিং পাউডার সিকি চা–চামচ, লবণ ২ চা–চামচ, রসুনগুঁড়া সিকি চা–চামচ, বুন্দিয়া ভাজার জন্য তেল ২ কাপ, তেঁতুলের সস দেড় টেবিল চামচ।
প্রণালি: অল্প অল্প পানি দিয়ে বেসন মিলিয়ে নিন। বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, রসুনগুঁড়া মেলান। বুন্দিয়ার ব্যাটার বা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। ব্যাটার যত ভালো করে ফেটবেন, বুন্দিয়া তত সুন্দর হবে। পানি একটু একটু করে আন্দাজ করে দেবেন। কড়াইয়ে তেল গরম করুন। ছোট ছিদ্রওয়ালা ঝাঁজরিতে অল্প অল্প ব্যাটার দিয়ে বুন্দিয়া ভেজে নিন। একটি বড় বাটিতে ৬ কাপ পানি, তেঁতুলের সস ও লবণ মেশান। সব বুন্দিয়া ভাজা হলে ঠান্ডা করে তেঁতুল, লবণ–পানিতে ভিজতে দিন ১০ মিনিটের জন্য।
তেঁতুলের সসের উপকরণ: পাতলা তেঁতুলের ক্বাথ ১ কাপ, আখের গুড় ৩ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন ১ চা–চামচ, কারিপাতা ৫–৬টি, টালা শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা–চামচ, ভাজা ধনেগুঁড়া ১ চা–চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া ১ চা–চামচ, লবণ স্বাদমতো, শর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ, আদাকুচি সামান্য, রসুনকুচি সামান্য।
প্রণালি: চুলায় প্যানে শর্ষের তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ও কারিপাতার ফোড়ন দিন। এরপর আদাকুচি, রসুনকুচি দিয়ে একটু ভেজে তেঁতুলের পাতলা ক্বাথ দিয়ে দিন। এরপর একে একে সব মসলা ও লবণ দিয়ে জ্বাল দিন। সসের মতো ঘন হলে নামিয়ে বাটিতে ঢেলে রাখুন।
দইয়ের উপকরণ: জিরাগুঁড়া ১ চা–চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা–চামচ, টালা শুকনা মরিচগুঁড়া ১ চা–চামচ, চাট মসলাগুঁড়া ১ চা–চামচ, বিট লবণ ১ চা–চামচ, কারিপাতা ১০/১২টা, আস্ত জিরা আধা চা–চামচ, মিষ্টি দই আধা কেজি, চিনি সিকি কাপ, তেঁতুলের রস সামান্য, তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: অন্য পাত্রে দই ফেটান। ঘন হলে সামান্য পানি দিয়ে ফেটান। তেঁতুলের রস, আস্ত জিরা আর কারিপাতা ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে ফেটান। পরে সামান্য তেঁতুলের সস দিয়ে মেশান। তেল দিয়ে আস্ত জিরা ও কারিপাতার ফোড়ন দিন। একটু ভেজে তৈরি করে রাখা দইয়ের ওপর ঢেলে ফোড়ন দিন। দু–তিন ঘণ্টা পর তেঁতুলের সস দিন। এবার এর মধ্যে বুন্দিয়া ঢেলে পরিবেশন করুন।