আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। তবে ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সবার কাঠগড়ায় সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। নিজের সমালোচনা শুনেছেন বলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে উচ্চস্বরে বক্তব্য দেওয়ার সঙ্গে নেতিবাচক প্রশ্নে উত্তপ্ত হতে দেখা গেছে তাঁকে।
ফিফা থেকে তো আপনাকেও শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে?
আবদুস সালাম মুর্শেদী : আমার কাছে প্রায়ই চিঠি আসে। শুধু এটা নয়, প্রতিটি খরচের ব্যাপারে নিয়মিত চিঠি আসে এবং আমরা যার যারটার উত্তর দিই। হয়তো এই জিনিসটা ওইভাবে পড়ে নাই, এ জন্য। তদন্তে অন্য কাউকে আমরা যদি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দেখি, তাহলে আমরা অবশ্যই যদি প্রয়োজন মনে করি, ব্যবস্থা নিতেও কার্পণ্য করব না।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য এগুলো করেছি– সোহাগ যদি এই অভিযোগ করেন?
আবদুস সালাম মুর্শেদী : যদি বলে কোনো কথা নেই। এটা হতে হবে খুব সুনির্দিষ্ট। যেহেতু এখানে ইন্টিগ্রিটির বিষয় আছে। যদি আমাদের সেটা না থাকত, তাহলে আমাদের নাম থাকত (ফিফার প্রতিবেদনে)। এখন থেকে আমাদের ফুটবল ফেডারেশনে অ্যাটেনডেন্ট মেশিন থাকবে, আমাদের যাওয়া-আসা সবকিছু লিপিবদ্ধ থাকবে। আমাদের যে ভুল আমরা দেখেছি বা করেছি, সেটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, অবশ্যই আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়টা তো ফাইন্যান্স কমিটিরও?
আবদুস সালাম মুর্শেদী : দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই। ফিফা ও এএফসি থেকে অনেকবার টিম এসেছে, তারা যেখান থেকে ক্রয় করা হয়েছে সেটা দেখেছে, সে কোম্পানি দেখেছে, তাদের রেজিস্ট্রেশন দেখেছে, তাদের ব্যবসায়িক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেছে। তা দেখে তারা সন্তুষ্ট হয়নি বলেই এই কমপ্লায়েন্সের কারণে তারা এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তো সরাসরি যুক্ত ফাইন্যান্স কমিটি
আবদুস সালাম মুর্শেদী : জালিয়াতি হলে তিনি (সোহাগ) সেটা ব্যক্তিগতভাবে করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি একটা ডলার বা অর্থ এক জায়গায় পাঠিয়েছেন, সেটা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের না। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত। এখানে ফাইন্যান্স কমিটির কোনো জালিয়াতি নেই। (আমাদের কনসার্ন ছাড়া) তিনি পাঠিয়েছেন বলেই তো নিষিদ্ধ হয়েছেন।