ভারতের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিধায়ক আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই সাবেক বিধায়ক আশরাফ আহমেদ হত্যার তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ রাজ্য পুলিশ তিন সদস্যের এক বিশেষ তদন্ত দলও গঠন করেছে। সেই দলের তদন্ত ঠিকমতো হচ্ছে কি না, দেখতে গড়া হয়েছে আরও এক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি। তাতে এই হত্যা রহস্যের কিনারা কতটা হবে, সেই প্রশ্ন ছাপিয়ে উঠে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যাতে পুলিশের গাফিলতি স্পষ্ট। আর এসব প্রশ্ন থেকেই জন্ম এই জোড়া খুনে ‘রাষ্ট্রের’ হাত ছিল কি না।
প্রশ্নটা উঠছে। কারণ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ একাধিকবার বলেছেন, রাজ্য থেকে ‘গুন্ডা ও মাফিয়ারাজ’ পুরোপুরি খতম করে দেবেন। ইতিমধ্যেই তাঁর রাজত্বে শতাধিক এ ধরনের খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য পুলিশের রেকর্ড বলছে, ২০১৭ সাল থেকে আদিত্যনাথের রাজত্বে মোট ১০ হাজার ৯০০টি ‘এনকাউন্টার’–এর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৮৩ ‘অপরাধী’ নিহত হয়েছেন বলে সম্প্রতি পিটিআইকে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ডিরেক্টর জেনারেল (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার। পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, ১৩ পুলিশ কর্মীও নিহত হয়েছেন। ৫ হাজার ৪৬ জন আহত হয়েছেন। ২৩ হাজার ৩০০ ‘অপরাধীকে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে ইতিমধ্যেই আরজি জানানো হয়েছে।