আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মঈনুদ্দিন মোনেম বলেছেন, আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোনের মাধ্যমে আমরা বিশ্বমানের কারখানা তৈরি করব। এর ফলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের কাছে মুন্সিগঞ্জে কাজ করা আর ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডে কাজ করার মধ্যে কোনো তফাৎ থাকবে না।
একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
এ এস এম মঈনুদ্দিন মোনেম বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সুবিধাজনক স্থান নির্বাচন করা। আমাদের ইকোনমিক জোনটা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এবং মেঘনা-গোমতী নদীর মোহনার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। বিনিয়োগকারীরা নদীপথ ব্যবহার করতে পারবে আবার মহাসড়কের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দরেও যেতে পারবেন। তাই আমি মনে করি আমাদের জোনের কানেকটিভিটি ভালো হওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে যোগাযোগ স্থাপন সহজ। আমরা এখানে ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে আছি। আমি মনে করি আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্থানগত সুবিধা।
তিনি বলেন, আমাদের আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোনে দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে জাপানের হোন্ডা কোম্পানি চার বছর ধরে ভালো উৎপাদন করছে। এক্ষেত্রে তারা সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ, জমিসহ নানা সুবিধা পাচ্ছে। ফলে তারা ভারত ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত তাদের কারখানার সমকক্ষ করে এখানেও হোন্ডা তৈরি করতে পারছে। এটি বিবেচনায় নিলে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সঠিক গন্তব্য। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারি তাহলে আগামী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আরো অন্তত পাঁচটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ আনতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।