দোকানে সাজানো ছিল কাপড়চোপড়—শাড়ি, থ্রি-পিস, ছোটদের গেঞ্জি সেট, বড়দের জিনস, জামা-জুতা। ঈদে বেচাবিক্রি হবে, সেই টাকা দিয়ে দোকানের কর্মচারীদের ঠিক সময়ে বেতন-বোনাস দেওয়া হবে, নিজেদের ঈদ মোটামুটি ভালো কাটবে—এমন চিন্তা ছিল ব্যবসায়ীদের, প্রতিবার যেমন থাকে।
বঙ্গবাজারে যাঁদের যাওয়া-আসা আছে তাঁরা জানেন, সেখানকার ব্যবসা, বেচাকেনা মোটের ওপর সব সময়ই ভালো। পাইকারি ও খুচরা, একই সঙ্গে চলে সেখানে। ঢাকার বাইরে থেকে গাঁট ভরে মাল কিনে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। আর খুচরা কেনাকাটার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিশেষ পছন্দ এই বঙ্গবাজার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল, বুয়েট, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা—এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হরহামেশা বঙ্গবাজার থেকে কেনাকাটা করে থাকেন। আমরা ছাত্রজীবনে বঙ্গবাজার থেকে নিয়মিত কেনাকাটা করেছি। বিশেষ করে শীত আসার আগে জ্যাকেট, সোয়েটার ও জুতা কেনার জন্য ওই মার্কেটকেই বেছে নিতাম।