জাফরুল্লাহ ভাইয়ের জিপটা চালাতেন একজন নারী। চার দশক আগে ব্যাপারটা চোখে পড়ত খুব। নারীরা তখনও অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে। সেনাবাহিনীতে নিয়োগ তো বটেই, রাজনীতি কিংবা শ্রমবাজারেও তাঁদের প্রাধান্য তখনও সুদূর কল্পনার বিষয়। আমি উঠতি তরুণ, এটা দেখে চমৎকৃত হতাম। কিন্তু এর মধ্যেই যে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনদর্শনের একটা ঘোষণা আছে; তা বুঝতাম না।
কয়েক বছর পর তাঁকে যখন বিচিত্রা অফিসে দেখতাম, মনে হতো, হলিউড ছবির কোনো মাচো (পুরুষালি) নায়ক কিংবা এর চেয়েও বেশি কিছু। ঝাঁকড়া চুলে গমগম করে কথা বলতেন; ঝকঝকে চোখে এক পলকে অনেক কিছু দেখে নিতেন। তাঁকে দেখে মনে হতো পৃথিবীর যে কোনো অসাধ্য সাধন করার ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ়তায় ভরপুর একজন মানুষ। মনে হতো, এক মানুষের ভেতর অনেক মানুষের জীবনীশক্তি নিয়ে টগবগ করে ফুটছেন তিনি।