রোজার সময় ডায়াবেটিক রোগীদের প্রয়োজন বিশেষ সতর্কতা। যারা ইনসুলিন নিচ্ছেন তাদের অবশ্যই হাইপো বা হাইপার ের লক্ষণগুলো জেনে নিতে হবে।
নিয়মিত ব্লাড সুগার ফলোআপ করতে হবে। রোজায় ইনসুলিন ওষুধের সঙ্গে ব্লাড সুগার অ্যাডজাস্ট করে কি না, তা লক্ষ করুন।
প্রথম দিকে ইফতারের আগ মুহূর্তে, ইফতারের দুই ঘণ্টা পরে ও সাহরির দুই ঘণ্টা পর ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন। এছাড়া সারা দিনে যখনই খারাপ লাগবে, ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে দেখুন। এর পাশাপাশি নজর দিন খাদ্যাভ্যাসের ওপর।
খাবারের প্ল্যান যেমন হতে পারে-
রোজায় সাহরি ও ইফতারে শুধু পানি খাওয়ার ওপর জোর দেবেন না। রোজায় খাদ্যাভ্যাস হতে হবে সুষম। হাই ফাইবার বা উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ ও লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। যেমন ভুসিসমেত আটা বা লাল আটা, লাল চাল, ওটস, চিড়া, বাদাম, মিক্সড ডাল, সিরিয়াল, শাকসবজি ও ফল। পাশাপাশি থাকবে ডিম, মাছ, মাংস ও দুধ। যেন ধীরে ধীরে ভেঙে খাবারগুলো সারা দিন অ্যানার্জি দিয়ে যায় আপনাকে।
ইফতারে প্লেটে রাখুন খেজুর, কয়েক পদের ফল, শসা, দই, চিড়া, মাছ বা মাংসের কাবার, লাচ্ছি, মাঠা, লাবাং, ছানা, আখের রস, ডাবের পানি, আখের গুড়ের শরবত, লেবু পানি, কিছু বাদাম, সবজি খিচুড়ি ইত্যাদি।
ইফতারে আপনি যত মাংসের কাবাব জাতীয় হাইডেনসিটির ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খাবেন, তত বেশি পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে আপনাকে।
খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি (শর্করা ও চর্বি) সমৃদ্ধ খাবার পরিহার করুন। বিশেষ করে ইফতারে। ইফতারে সরল শর্করা খাবার পরিহারের চেষ্টা করুন। যেমন চিনি, গুড়, সুগার, সিরাপ ও মিষ্টি। এর বদলে রাখুন আঁশসমৃদ্ধ খাবার। লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার, বিচিজাতীয় খাবার, ওটস, নানা ধরনের ডাল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি।