ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। এই খুশির মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় ঈদের সালামি। বড়দের কাছ থেকে ছোটদের ঈদ সালামি নেওয়া ঈদ আনন্দের বড় অনুষঙ্গ। আর সেই সালামির টাকা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে একেবারে নতুন, কড়কড়ে। এছাড়া বকশিশ, দান-খয়রাত কিংবা ফিতরাতেও অনেকে নতুন টাকা বিতরণ করেন। তাই ঈদ ঘিরে গ্রাহকদের কাছে নতুন টাকার আকর্ষণও একটু বেশি।
গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে প্রতিবছরই ঈদের আগমুহূর্তে বাজারে নতুন টাকার নোট ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল রোববার (৯ এপ্রিল) থেকে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়গঞ্জ অঞ্চলের ৩২টি ব্যাংকের ৪০টি শাখার মাধ্যমে নতুন টাকার বিনিময় শুরু হয়েছে। এ বছর মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সমপরিমাণ টাকার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা দিচ্ছে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগের পরিচালক মো. সারওয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এ সমপরিমাণ টাকার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। একজন সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকার নতুন নোট নিতে পারবেন।
গতকাল ৯ এপ্রিল থেকে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) ৩২টি ব্যাংকের ৪০টি শাখার মাধ্যমে নতুন টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে চার ধরনের নতুন নোট (৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নোট) বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে নোট উত্তোলনকালে কেউ ইচ্ছা করলে কাউন্টার থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে যে কোনো পরিমাণ ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করতে পারবেন।