দুবাইয়ের আরাভ-কাণ্ডের পর সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, স্বর্ণ ব্যবসা করতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের দরকার হয়, তা তিনি পেলেন কীভাবে। এত অল্প সময়ে তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন, নাকি সবই বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া। আরাভ খান খুনের মামলা মাথায় নিয়ে ভারত হয়ে তারপর দুবাই গেছেন। একইভাবে আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারির অন্যতম নায়ক প্রশান্ত কুমার হালদার বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত গিয়েছিলেন। সেখানে অবশ্য তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। সন্দেহ নেই, ভারতে যে বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তা বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়েই কেনা। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে যে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়, এই বক্তব্যের আসলেই সত্যতা আছে।
এবার দুবাই প্রসঙ্গ। ‘মাফিয়াপ্রধান’ বা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড ডন’ দুবাই বসে অন্য দেশের অপরাধী দল চালাচ্ছেন, নাশকতার পরিকল্পনা করছেন, সিনেমায় সচরাচর এটা দেখা যায়। এরও সত্যতা আছে। আর কয়েক বছর ধরেই বলা হচ্ছে, অপরাধীদের নতুন আশ্রয়স্থল এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের জায়গা হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে দুবাই। এ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও হয়েছে।