মাছ-মাংস, শাক-সবজি, তেল-নুনের দাম যদি প্রতিদিনই বাড়ে, তাহলে গরিব মানুষের দশা কেমন হতে পারে? এই কথাটা একবারও দেশের সরকার বা কাঁচাপণ্যে ব্যবসায়ীরা কেন ভাবেন না, তার কারণ গবেষণা করে বের করতে হবে। কারণ, এর মধ্যে ব্যবসায়ীদের চিরায়ত দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আর সেই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে আছে মুনাফার লোভ।
মাত্র একমাস দাম বাড়িয়ে ব্রয়লার মুরগির খামারিরা ১ হাজার কোটি টাকা বেশি মুনাফা করেছে। এই অভিযোগ ক্যাবের। কিভাবে তারা দাম বাড়ানোর টেকনিক নিয়েছে, তা এখন আম পাবলিকও জানে।। হঠাৎ করেই একদিন ব্রয়লার সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেয় তারা। তারপর একমাস ধরে সেই ব্যবসা চালিয়ে গিয়ে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের কর্তাদের অনুরোধে ২০ টাকা কমিয়ে দেয়।
এতে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের কর্তারা খুশি। জনগণের জন্য তারা ব্রয়লার মুরগির দাম কমিয়ে দিতে পেরে তা সগৌরবে প্রচার চালানো হয়। ওই একমাসে ব্রয়লার এগ্রো ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা মাত্র একহাজার কোটি টাকা লুটে নেয় ওই মুরগি খেকো গরিব জনগণের পকেট থেকে। এই হচ্ছে মূল কাহিনী।
জাগো নিউজেই পড়েছিলাম ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকার। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর । অর্থনীতিবিদ হিসেবে তার বেশ খ্যাতি আছে। তিনি বলেছেন, আসলে পণ্যের দাম তো বাড়ায় সরকার। তাঁর ভাষ্য-`এ কারণেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। তারা মনে করেন, এই রাষ্ট্রে যা ইচ্ছা তাই করা যায়। কোনো কৈফিয়ত দিতে হবে না। কৃষক পায় ২০ টাকা আর ভোক্তা কেনে ৮০ টাকায়। বাকি ৬০ টাকা কাদের পকেটে যায়? এর হিসাব তো রাষ্ট্রের কাছে থাকার কথা।