মানুষের ষড় রিপুর একটি হলো- রাগ। রাগ এমন একটি অস্বস্তিকর তীব্র মানসিক অবস্থা, যা মানুষের শুভ বুদ্ধিকে কমিয়ে দেয়। এর ফলে অনেক সময় মানুষ অহিতকর ও গর্হিত কাজ করে ফেলে। এটা রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং রোজার সওয়াবকে কমিয়ে দেয়।
রাগের কারণে মানুষের ভেতরে যে অস্বস্তিকর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করা রোজার চাহিদা ও দাবি। কেননা মানুষের আচরণে সংযত স্বভাব আনার জন্যই রোজা বিধিত হয়েছে। রাগ, ক্রোধ প্রভৃতি নেতিবাচক স্বভাবকে নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজাপালন করলে রোজার পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হবে।
পবিত্র কোরআনে রাগ দমনকে আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, যারা রাগ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল (তারা সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত)। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালোবাসেন। সুরা আল ইমরান: ১৩৪
আয়াতে রাগ সংবরণ এবং মানুষকে ক্ষমা করার বিষয়টি পাশাপাশি বলা হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় দিক হলো, মানুষ সাধারণত অপর মানুষের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে কিংবা অপর মানুষ দ্বারা তার ছোট ছোট অধিকার হরণের শিকার হয়ে রাগ করে থাকে। প্রথমে বিষয়টি ছোট আকারে শুরু হলেও রাগ দমন করতে না পারলে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে। কিন্তু শুরুতেই যদি ছোট ছোট ভুল করা মানুষদের ক্ষমা করে দেয়া যায় কিংবা বিষয়টির মিমাংসা করে ফেলা হয় তাহলে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে অরাজকতা সৃষ্টি হবে না।