কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের ছোটখাটো আগুন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকলেও বহুতল ভবনে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সক্ষমতা নেই। সেইসঙ্গে নৌকাডুবি কিংবা পানিতে নিখোঁজের সন্ধানে অভিযান চালানোর ডুবুরি ও হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়ার অ্যাম্বুলেন্স নেই। জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কর্মরত দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন সম্ভব হয়নি। ওই স্টেশনের জন্য বরাদ্দ গাড়ি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কুড়িগ্রাম সদর ও রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে পড়ে আছে। জেলা সদর কিংবা উপজেলা পর্যায়ের কোনও স্টেশনের কর্মীদের ভবনের সিঁড়ি বেয়ে ওঠা ছাড়া বহুতল ভবনে উদ্ধার অভিযান কিংবা অগ্নিনির্বাপণের সক্ষমতা নেই। অথচ জেলায় সরকারি বিভিন্ন দফতর ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক বহুতল ভবন রয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আটতলা ভবন। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে পাঁচতলা ছাত্রাবাসসহ রয়েছে একাধিক বহুতল ভবন। এ ছাড়া শহরে বাণিজ্যিক ভবন ছাড়াও অনেক বহুতল ভবন আছে। উপজেলা শহরগুলোর চিত্রও একই। এসব ভবনে অগ্নিকাণ্ড কিংবা ভবন ধসের ঘটনা ঘটলে উদ্ধার অভিযান নিয়ে শঙ্কিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।