আলোচনার পর আলোচনা, বৈঠকের পর বৈঠক—তা-ও মন গলছে না বিমান বাংলাদেশের। বকেয়া আদায়ে জ্বালানি বিভাগের কোনও কথাই কানে তুলছে না বিমান। এবার আরও কঠোরভাবে বকেয়া চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, গত সপ্তাহে জ্বালানি সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠক করেন বিপিসি এবং সংশ্লিষ্ট তেল বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, আগেও বিমানের কাছে বারবার বকেয়া চাওয়া হয়েছে। বিমান টাকা দিতে না পারলেও আলোচনা চালিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর এ বিষয়ে চিঠি দিলেও তার উত্তর দেয় না বিমান। যেহেতু বিমান কোনও কথাই শুনছে না, তাই বিষয়টি বেসরকারি বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও আগেও জ্বালানি বিভাগ থেকে বেশ কয়েকবার বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি বলেও জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বিমানের কাছে সুদে আসলে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। টাকা আদায়ের লক্ষ্যে সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। সবশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পদ্মা অয়েল কোম্পানি বকেয়া পাওনা আদায়ের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশকে চিঠি দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও ফলপ্রসূ সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে পদ্মা অয়েলের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।