স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতে বাংলাদেশে বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মূলত চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হলেও অল্প বয়সের মানুষও আক্রান্ত হতে পারে। মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্তক্ষরণ বা রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে যে ক্ষতি হয়, সেটাই স্ট্রোক। স্ট্রোক থেকে প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত, বিকলাঙ্গ এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সচেতনতা : স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য রোগ। সঠিক জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক ওজন, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার, ধূমপান পরিহার করা এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। স্ট্রোকের রোগী প্রায়ই অনেক দেরি করে হাসপাতালে পৌঁছান। ততক্ষণে রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় থাকে না। অথচ সময়মতো চিকিৎসা পেলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।