ব্যাংকের মতো মন্ত্রীদেরও কোনো জবাবদিহিতা নেই: সংসদে ফিরোজ রশীদ

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:২৬

সংসদে অর্থমন্ত্রীর না থাকার সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘মন্ত্রী এখানে (সংসদ)থাকেন না। কোন মন্ত্রীর কী দায়িত্ব সেটাও জানি না। কে কী কাজ করে, জবাবদিহিতাও নাই কোনো। ব্যাংকের যেমন জবাবদিহিতা নেই, মন্ত্রীদেরও জবাবদিহিতা নেই।’


আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 


জবাবদিহিতা না থাকলে দেশ কীভাবে চলবে—প্রশ্ন রেখে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকের লাইসেন্স দেন। সেটা কীভাবে চলবে তা ঠিক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগ। তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। কেন জনগণের টাকা লুটপাট হচ্ছে, কে দায়ী এসবের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।


একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখিয়ে সাউথ বাংলা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন এক হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছেন অভিযোগ করে জাতীয় পার্টির এমপি বলেন, তিনি পাচার করা অর্থে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও একাধিক বাড়ি কিনে বসবাস করছেন। তিনি একা এই কাজ করেননি। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়ত প্রত্যেক ব্যাংকে অডিট করে। এক হাজার কোটি টাকাতো একদিনেই নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় কী করলো?


অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টি এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা কথা বলতে পারবো না। এখানে অর্থমন্ত্রী কখনো থাকেন না। উনি কোন কথাই শুনতে চান না।’


ওই প্রতিবেদন দেখিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বা অর্থ মন্ত্রণালয় কোন প্রতিবাদ করেনি। তারা জানেন এক হাজার কোটি টাকা কোন টাকাই না। এখানে পাঁচ হাজার কোটি টাকা হলে তারা নড়েচড়ে বসে। ১০ হাজার কোটি টাকা হলে আরেকটু নড়েচড়ে বসে।’


ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘জনগণের টাকা নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। ব্যাংকগুলো পারিবারিক হয়ে গেছে। এগুলো জনগণের ব্যাংক নাই। আমরা টাকা রাখি ঠিকই। ব্যাংকের মালিকদের চাকর-বাকরদেরও কোনো অসুখ হলে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক চলে যাবে চিকিৎসার জন্য।’


মন্ত্রীদের সমালোচনা করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘মন্ত্রীরা একেক সময় একেক কথা বলেন। আমরা একটা সংবাদ পেলাম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়ায় নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে তিনি রাজনৈতিক চর্চা করতে পারবেন। আরেক মন্ত্রী বললেন উনি (খালেদা জিয়া) শর্ত দিয়েছেন রাজনীতি করবেন না। আপনারা একেক সময় একেক আইনের ব্যাখ্যা দেন। আইনের ব্যাখ্যা দিবেন আইনমন্ত্রী। সেটাই সঠিক মনে করবো। অর্থের ব্যাখ্যা দিবেন অর্থমন্ত্রী। আমরা সেটাই মনে করবো। কিন্তু আমরাতো কারও কাছে ব্যাখ্যা পায় না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us