গরম বাড়ছে ক্রমেই। গরমের সময় মানেই দিনভর ফ্যান কিংবা এসি চলা। এতে মাস শেষে বেশ বড় অংকের একটা বিদ্যুৎ বিল চলে আসে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চাইলে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।
১। ব্যুরো অব এনার্জি এফিশিয়েন্সি’র (বিইই) মতে, এয়ার কন্ডিশনারের ডিফল্ট তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই তাপমাত্রা মানবদেহের জন্য স্বস্তিদায়ক। এসির তাপমাত্রা বাড়ালে প্রতি ডিগ্রির জন্য ৬ শতাংশ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। ফলে ১৮ ডিগ্রির বদলে ২৪ দিয়ে রাখলে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচবে অনেকটাই।
২। ঘরে পুরনো বাল্ব বা টিউবলাইট থাকলে সেগুলো বদলে ফেলুন। এগুলোর বদলে ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে।
৩। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় ভালোমানেরটা কিনবেন। কারণ পুরনো ও নিম্নমানের যন্ত্র ব্যবহার করলে তাতে বিদ্যুতের খরচ বেশি হয়।
৪। একটানা এসি না চালিয়ে মাঝে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখুন। ঘণ্টা খানেক এসি চালানোর পর সেটি বন্ধ রাখলেও ঘর ঠান্ডা থাকবে অনেকক্ষণ।
৫। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে লাইট ও ফ্যানের সুইচ ঠিকঠাক বন্ধ করেছেন কিনা সেটা যাচাই করে নিতে ভুলবেন না।
৬। ওয়াশিং মেশিন উচ্চতাপে ব্যবহার না করে ৩০ ডিগ্রি সাইকেলে ব্যবহার করুন। সিলিং ফ্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ফুল স্পিডে না দিয়ে কমিয়ে দিন। প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় হবে বিদ্যুৎ।
৭। ইনভার্টার এসি কিনুন। এ ধরনের এসির মোটরটি প্রয়োজন মতো নিজস্ব চলার গতি পরিবর্তন করতে পারে। ইনভার্টার এসিতে থাকা সেন্সর ঘরের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে কম্প্রেসার পুরোপুরি বন্ধ না করে মোটরটির চলার গতি কমিয়ে দেয়। ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
৮। নিয়মিত এসি সার্ভিসিং জরুরি। পাশাপাশি এসির ভেতরের ভেন্টগুলোও পরিষ্কার করতে হবে। এতে কম্প্রেসরের ওপর চাপ কম পড়বে ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।