সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি দোদুল্যমান

জাগো নিউজ ২৪ মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫৭

পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক ধারার রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বামপ্রগতিশীল শক্তির অবদান থাকলেও অসাম্প্রদায়িক ধারার প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মূলত আওয়ামী লীগই মানুষের কাছে বেশি পরিচিতি পেয়েছে।


আওয়ামী লীগের এই পরিচিতি একদিনে হয়নি। ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই হয়েছে। মানুষের আস্থা যে আওয়ামী লীগের ওপরই, সেটা স্পষ্ট হয়েছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করেছিল। জনগণের ওই ম্যান্ডেটই বঙ্গবন্ধুকে আইনগত ভিত্তি দিয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে, ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক ধারার অপসারণ ঘটলেও তা আবার ফিরে আসে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কী ঘটেছিল তা বোধ হয় কাউকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে না। ওই দিন যদি শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হতো, ক্ষমতা দখল করা হতো, তাহলে ১৫ আগস্টের তাৎপর্য হতো এক রকম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে আমরা যেদিকে যাত্রা করেছিলাম, তার ঠিক বিপরীত দিকে দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, সেটা খুবই পরিষ্কার।


পঁচাত্তরের ঘাতকরা তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনার কথা পরবর্তীকালে ঘোষণা দিয়েই বলেছে। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে, তারাও সবাই ব্যতিক্রমহীনভাবে বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রচারণা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী একটা প্রজন্মও তারা গড়তে চেয়েছেন, যাতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হয়ে পড়ে বিভ্রান্ত এবং দেশের মানুষ হয়ে পড়ে ইতিহাসবোধহীন ও আত্মগৌরবহীন। চিরকালের বঞ্চিত, নিগৃহীত এ অঞ্চলের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে বঙ্গবন্ধু যে গৌরবের আসনে বসিয়েছিলেন, সে আসন থেকে জাতিকে বিচ্যুত করার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।


বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে কোনো ভুল করেননি, দেশশাসন করতে গিয়ে কোথাও ভ্রান্তির শিকার হননি বা ব্যর্থ হননি, এমন কথা নিশ্চয়ই আমি বলব না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল তার ভুল বা ব্যর্থতার জন্য নয়-বরং তার সাফল্যের জন্য। একাত্তরের পরাজিত শক্তি পরিস্থিতি তৈরি করেছিল বিজয়ী জাতির ওপর প্রতিশোধ নিতে; সে লক্ষ্যেই তারা আঘাত হেনেছিল বঙ্গবন্ধুর ওপর।


বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির শক্তির প্রতীক, বিজয়ের প্রতীক। তাকে হত্যা করা গেলে জনগণকে স্তম্ভিত ও হতবিহ্বল করে দেয়া যাবে- এটাই ছিল তাদের রণকৌশল। এতে তারা সফল হয়েছিল বৈকি। পরবর্তীকালে একই উদ্দেশ্যে তারা জেলখানার ভেতর ঢুকে সভ্যজগতের সব রীতিনীতি লঙ্ঘন করে হত্যা করে চার জাতীয় নেতাকে, যারা বঙ্গবন্ধুর দৈহিক অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।


বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রথমে জিয়ার ও পরে এরশাদের সেনাশাসন আমলে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দেশপ্রেমিক-প্রগতিশীল দল ও গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর দেশজুড়ে তীব্র দমনপীড়ন নেমে এসেছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us