গত ২৪ মার্চ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে থ্রিলারধর্মী ছবি ‘চোর নিকাল কে ভাগা’। মুক্তির পর দর্শক–সমালোচকের প্রশংসা পাচ্ছে ইয়ামি গৌতম ও সানি কৌশল অভিনীত ছবিটি। চারদিকে ইয়ামির জয়জয়কার। এর আগে ‘লস্ট’ ছবিতেও প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর এই থ্রিলার ছবিটিও ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছিল। এই নিয়ে ওটিটিতে ইয়ামির পাঁচটি ছবি মুক্তি পেল। মুম্বাইতে নেটফ্লিক্সের দপ্তরে ইয়ামি গৌতমের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি।
দীর্ঘদিন রুপালি পর্দা থেকে দূরে আছেন ইয়ামি গৌতম। আলাপচারিতার শুরুতেই উঠে এল সে প্রসঙ্গ। ইয়ামি বলেন, ‘নিজেকে নিশ্চয় বড় পর্দায় দেখতে চাই। এটা অস্বীকার করছি না। একজন শিল্পী হিসেবে চাইব বড় পর্দায় ছবি মুক্তি পাক। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। ছবি কোথায় মুক্তি পাবে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র নির্মাতাদেরই থাকে। কোথায় ভালো আয় হবে, এ ব্যাপারে তাঁরা সবার আগে ভাবনাচিন্তা করেন।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আগেকার দিনের নির্মাতারা কট্টর সিনেমাপ্রেমী ছিলেন। একটা ছবি নির্মাণের জন্য নিজেদের বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দিতেন। কিন্তু এখন সবকিছু বদলে গেছে। তবে ওটিটিতে ছবি মুক্তি পেলে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষ তা দেখতে পারেন।’
ইয়ামির বলিউডে অভিষেক হয়েছিল ১০ বছর আগে। এই ১০ বছরে তাঁকে সব সময় নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে।
প্রতিটি ছবিতে নিজেকে নতুন মোড়কে পর্দায় তুলে ধরার প্রসঙ্গে ইয়ামি বলেন, ‘আমি সিস্টেমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলিনি। অনেক সময় মানুষ নিজের প্রতিভার কথা ভুলে সিস্টেমের সঙ্গে চলেন। এই প্রথার বাইরে হাঁটা আমার জন্য নিশ্চয় কঠিন ছিল। ধৈর্য ধরেছি। ক্রমাগত ভালো চিত্রনাট্য ও চরিত্রের খোঁজ করেছি। প্রথম হিন্দি ছবি “ভিকি ডোনার” মুক্তির সময় আমার কোনো ভাবমূর্তি তৈরি হয়নি। কিন্তু নিজের ভাবমূর্তি গড়ার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। তখন মনে মনে ভেবেছিলাম, আমাকে অন্য রকম কিছু একটা করতে হবে। “উরি” আর “বালা” এই ছবি দুটি আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছিল। বুঝে গিয়েছিলাম যে আমার কী করা উচিত।’
বছর দুই আগে পরিচালক আদিত্য ধরকে বিয়ে করেন ইয়ামি। তিনি মনে করেন বিয়ের পর তাঁর ভাগ্য অনেকটাই ঘুরে গেছে। সাধারণত স্ত্রীরা স্বামীদের ভাগ্য ফেরায়। কিন্তু ইয়ামির ক্ষেত্রে উল্টোটা হয়েছে বলে তিনি জানান।