রোজায় চোখের যত্ন, যা জানা দরকার

নিউজ বাংলা ২৪ প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ২০:০৭

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে দীর্ঘ সময় ধরে জেগে থাকতে হয় বলে চোখের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এ ক্ষেত্রে দরকার সতর্কতা। আবার নিয়মিত চোখের ওষুধ নেয়া অনেকে রমজানে সেটি কীভাবে নেবেন, তা নিয়েও থাকেন চিন্তায়। এসব বিষয়ে সাম্প্রতিক এক ভিডিওতে কথা বলেছেন গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ লায়ন্স আই হসপিটালের অধ্যাপক ডা. মো. জাফরুল হাসান। পরামর্শগুলো তার ভাষায় পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হলো।


১. রমজান মাস আসলে আমরা সাধারণত আমাদের ঘুমের যে ব্যাপারটা, সে ঘুমটা, সকালবেলা ওঠা, ভোররাতে ওঠা, তাহাজ্জুদ পড়া, তারপর আমাদের ইবাদতগুলো একটু বেড়ে যায়। ঘুমটা একটু কম হয়। তো আমরা নিয়মিত যারা ওষুধ ব্যবহার করি, তারা কীভাবে ওষুধগুলো ব্যবহার করব, এটা আবার রমজানের সাথে দেখা যায়, রোজা ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার একটা ব্যাপার থাকে যে, আমরা ওষুধ ব্যবহার করব কি না। সবকিছু মিলেই আমরা আমাদের চোখের যত্নটা কীভাবে নেব, সেটা নিয়ে আজকে আলোচনা করব।


২. এখানে আমরা বলি রাখি, রমজানে আমরা ইবাদত করব। আমরা আমাদের স্বাভাবিক যে ইবাদত করি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সাথে আমরা তাহাজ্জুদ পড়ি, আমরা আরও বেশি বেশি করে করব, কোরআন তেলাওয়াত করব। যারা হয়তো আমরা চল্লিশের কাছাকাছি চলে আসছি, তারা হয়তো আমাদের রিডিং গ্লাস লাগতে পারে। এটা আমরা আমাদের চেম্বারেও পাই যে, বয়স ৩৮, ৩৭ হয়ে গেছে। এখন বেশি বেশি পড়ার ইচ্ছা হলো। একটু মনে হয় কম দেখি। এ ক্ষেত্রে আমরা কী করব? আমরা চোখের ডাক্তারের একটু শরণাপন্ন হই। আমাদের যদি কারও গ্লাস লাগে, চল্লিশের দিকে চলে যায়, প্রেসবায়োপিয়া বলা হয়, একটা রিডিং গ্লাস আমরা যদি নিয়ে নিই, তাহলে আমরা কিন্তু আরামে পড়তে পারব।


৩. দেখা যায়, যে গ্লাস আপনি ইউজ করতেছেন, হয়তো অনেক দিন হয়ে গেছে, এটা একটু চেঞ্জ করা দরকার। কেমন জানি একটু কম লাগে। আমরা অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাব এবং এই গ্লাসটাকে আবার রিভিউ করে নেব যে, হ্যাঁ, ডাক্তার সাহেব দেখেন তো, দুই বছর তো হয়ে গেল, এই গ্লাসটা এখন জানি একটু কম লাগতেছে। এখন যে পড়ার ইয়েটা বেড়ে গেছে আমার, সে জন্যই বুঝতে পারতেছি, আমার একটু কম লাগতেছে। আমরা একটু ডাক্তারের কাছে যাব, আমরা গ্লাসটাকে চেঞ্জ করে নেব। ডাক্তার সাহেব বলবে, হ্যাঁ, আপনার পাওয়ারটা ওয়ান ছিল, এখন ওয়ান পয়েন্ট টুফাইভ লাগবে। তো এভাবে যদি আমরা নিজেরা চিন্তা করি চোখ নিয়ে, তাহলে এই জিনিসগুলো আমাদের চলে আসবে; আমরা সলভ করে নেব।


৪. আরেকটা জিনিস ‍ঘুমটা একটু কম হয়। অনেকের দেখা যায় মাইগ্রেন থাকে, হেডেক থাকে। তো এই যে মাইগ্রেন, হেডেক, এটা কিন্তু অনেক সময় বেড়ে যায়। তো আমরা চেষ্টা করব যে, আমাদের ‍ঘুমটাকে প্রপার করার জন্য, অন্তত সিক্স আওয়ারস, দিনে এবং রাতে মিলে যদি আমরা ঘুমায়া নিই, তাহলে আমরা কিন্তু মাইগ্রেন থেকে বেঁচে যাব। আমাদের মাইগ্রেন কিন্তু খুব প্রবলেম্যাটিক এবং কাজ বেড়ে যায়, সেহরি রেডি করতে হয়; ইফতার রেডি করতে হয়। আমার মা-বোনেরা, যারা আমরা মাইগ্রেনে ভুগি বেশি, ফ্যামিলিয়াল মেয়েদেরই মাইগ্রেন বেশি হয়। এই ক্ষেত্রে আমাদের কাজের চাপটা বেড়ে যায়। সেহরি রেডি করা, ইফতার রেডি করা। একটা পেরেশানি বেড়ে যায়। তো সে ক্ষেত্রে আমরা প্রপার রেস্ট নিতে পারি, প্রপার একটু ঘুমায়া নিতে পারি। তারপরে ইবাদত করতে হয়, ইবাদতটা একটু বাড়ায়া নিতে হয়। সবকিছু কম্প্রোইজ করে যদি আমরা চলি, তাহলে আমাদের চোখের ওপরে চাপ পড়বে না, আমরা চোখটাকে ঠিক রাখতে পারব; মাইগ্রেন থেকে আমরা বেঁচে যাব।


৫. আর যারা আমরা ওষুধ ব্যবহার করি চোখের, নিয়মিত ওষুধ, গ্লুকোমার পেশেন্ট যারা, রেটিনার পেশেন্ট, যারা আমরা ড্রাই আই পেশেন্ট, অনেক সময় ড্রাই আই বেড়ে যায় ঘুম কম হওয়ার কারণে। আমরা যদি আর্টিফিশিয়াল কেয়ার একটু ইউজ করি এই মাসে, চোখটা একটু পরিষ্কার থাকল, আরাম হলো। যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমরা চোখটাকে সেভ করতে পারব।


৬. আমরা চোখের যত্ন যেটাকে আমরা বলি, নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা, নিয়মিত চোখের প্রেশারটা চেক করা, আমার চশমাটা চেক করে নেয়া, এগুলা যদি আমরা একটু রমজানের আগে আগে আমরা একটু ডাক্তার সাহেবের কাছে যাই, একটু বলি ডাক্তার সাহেব, চোখের ব্যাপারটা একটু দেখে দেন, ডাক্তার সাহেব আপনাকে রিভিউ করে দিল যে, হ্যাঁ আপনি এভাবে এভাবে চলেন। আপনার কোনো অসুবিধা হবে না। এভাবে যদি রমজান মাসের আগে আগে আমরা চিন্তা করি নিই আমাদের চোখের ব্যাপারটাকে, আমরা ইনশাল্লাহ চোখটাকে ভালো রাখতে পারব। চোখের কাজটাই কিন্তু রমজান মাসে বেশি। এটা আমাদের বুঝতে হবে। রমজানে আমাদের ইবাদত, আমাদের পড়াশোনা—সবকিছু কিন্তু এই চোখের ওপরই। সুতরাং চোখ নিয়ে যদি আমরা আলাদা একটু চিন্তা করি, আমরা এগুলো সলভ করে নিতে পারব আশা করি।


৭. চোখের ওষুধ আপনি নিশ্চিন্ত মনে ব্যবহার করতে পারেন। যারা সকালে ব্যবহার করবেন, তারা একটু সেহরির আগে, যারা রাতে ব্যবহার করবেন, তারা ইফতারের পরে। মাঝের যে ড্রপটা, সেটা আপনারা দিলেন। দেয়ার পরে যদি গলায় একটু মনেও হয়, থু দিয়ে ফেলেন দিলেন। এভাবে আমরা সবকিছু মিলে যদি ব্যবহার করি, ইনশাল্লাহ আমরা চোখটাকে ভালো রাখতে পারব এবং চোখের যত্ন আমরা নিতে পারব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us