রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে বিভিন্ন রক্তনালীতে জমতে পারে। তখন স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতিতে নানাবিধ জটিলতা দেখা দেয় শরীরে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ওষুধের পাশাপাশি কয়েকটি ফলও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। যেমন-
আপেল: আপেলে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুব সহজেই কোলেস্টেরলকে দূরে করতে পারে। এ কারণে নিয়মিত আপেল খান। দিনে একটি করে আপেল খেলে নানা অসুখ দূরে থাকে। এছাড়া আপেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় তা খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমায়। এমনকী আপেল ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসুখে ভোগা রোগীদের জন্যও উপকারী। এ কারণে সকলকেই আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আঙুর: অনেকেই আঙুর খেতে ভালোবাসেন। স্বাদের পাশপাশি এই ফল গুণেও অনন্য। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে, আঙুর কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ আঙুর দেহের নানা উপকার করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা কতটা পরিমাণ আঙুর খেতে পারবেন তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নেওয়া ভালো।
স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরি হলো ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল অনায়াসে দূর করে দিতে পারে এই ফল। এ কারণে নিয়মিত স্ট্রবেরি খান। এতে সুস্থ থাকতে পারবেন।
সাইট্রাস জাতীয় ফল: সাইট্রাস জাতীয় যে কোনও ফলই ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। ভিটামিন সি হল একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ভিটামিন শরীরকে বিভিন্ন অসুখ থেকে বাঁচায়। এমনকী কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া এই ধরনের ফলে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ। এই সব খনিজ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী। এ কারণে কোলেস্টেরল কমাতে নিয়মিত সাইট্রাস ফল খান।
পেয়ারা: পেয়ারায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই ফল ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এ কারণে দিনে অন্তত একটা পেয়ারা খান। দুটি মিলের মাঝে খেলে উপকার বেশি পাবেন ।