কালবৈশাখীর মৌসুমে এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সেই সঙ্গে এপ্রিলের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার শঙ্কাও রয়েছে বলে রোববার চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, এপ্রিল মাসে ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের এবং ১ থেকে ২ দিন তীব্র কালবৈশাখী হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
“এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।”
পঞ্জিকার খাতায় বৈশাখ আসতে আরও দিন দশেক বাকি রয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার দাপট ও বেশ গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের ফলে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টিপাত কমবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়
তিন দিন ধরে রাজধানীনহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমার আভাস রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
বৃষ্টিপাত কমার পর তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। সোমবার সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
সীতাকুণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় টেকনাফের ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।