পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অ্যাপোলো ইস্পাত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের হিসাব প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত কোনো প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। আইন অনুযায়ী এই সময়ে আরও ১৪টি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা।
নির্ধারিত সময়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে প্রতিদিন দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু অ্যাপোলো ইস্পাতের এ বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি আসেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে।
কারণ জানতে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের উপায়ও নেই। স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ছয়টি ল্যান্ডফোন নম্বরের সবগুলোই অচল। কোম্পানি সচিবের নম্বর দেওয়া নেই। ফলে বিনিয়োগকারীরা একেবারেই অন্ধকারে।
আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় কোম্পানির লাভ-ক্ষতির চিত্র জানারও সুযোগ নেই; যা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ পাওয়া থেকেও রেখেছে দূরে।
শুধু একটি বা দুটি নয়, বছরের পর বছর অনেকগুলো কোম্পানির এমন নিয়ম ভাঙার খেলার মূল্য দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা; প্রতিকার কী হবে তাও জানা নেই তাদের।
পুঁজিবাজার থেকে শত শত কোটি টাকা তোলা নতুন বা পুরনো কোম্পানির বিনিয়োগকারীদেরকে কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে না জানানোর এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে বলে তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।
এতে দেখা গেছে, ২০টির বেশি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ আর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন উদাহরণ বিরল।
এমন প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় এসব কোম্পানির শেয়ারধারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং কোম্পানি ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপের পরামর্শ এসেছে বিশেষজ্ঞ-বাজার বিশ্লেষকদের কাছ থেকে।