অটিজম মানসিক বিকাশজনিত একটি সমস্যা, যা শিশুর জন্মের প্রথম তিন বছরের মধ্যেই প্রকাশ পায়। অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ২ এপ্রিল অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। আজ ১৬তম জাতীয় অটিজম সচেতনতা দিবস।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন’। অটিজমের বিস্তার দিনে দিনে অতীতের তুলনায় বাড়ছে।
২০২৩ সালে ৩৬ জনে একজন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ২.৭ শতাংশেরও বেশি অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ধরা পড়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিডিসি (সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন) এর তথ্যমতে।
অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মধ্যে স্বাভাবিক যোগাযোগ ও সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে সীমাবদ্ধতা থাকে। শিশুরা কেন অটিজম স্প্রেকটাম ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হয় তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শিশুরা সাধারণত তার চারপাশের পরিবেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। আশপাশের সব কিছু দেখে ও শুনে তার ভাষার বিকাশ হয়। অটিজম আক্রান্ত শিশুর মধ্যে এখানে সীমাবদ্ধতা থাকে।
তাদের মধ্যে একই আচরণের বা একই কাজের পুনরাবৃত্তি দেখা যায়। অনেক সময় নিজস্ব রুটিনের বাইরে চলাফেরা করতে সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।
অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে খিঁচুনি, হাইপার একটিভিটি, বুদ্ধির ঘাটতি, খাবার চিবিয়ে না খেতে পারা, পেটের সমস্যা, দাঁত ও চোখ সমস্যাও থাকতে পারে।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে আমদের সবার সচেতন থাকতে হবে। অটিজমে আক্রান্ত শিশুর প্রতি সহমর্মিতা ও ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দিব, যাতে তারা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করে স্বাবলম্বী হয়ে, চাহিদা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারে।
যত দ্রুত অটিজম শনাক্ত করা যাবে, শিশুটির চাহিদা অনুযায়ী থেরাপি’সহ সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়া যাবে, তত দ্রুতই সে অন্যান্য শিশুর মতো সমাজের মূলধারায় প্রবেশ করতে পারবে।
সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ দিতে পারে তাদের পরিপূর্ণ মেধার বিকাশ, দিতে পারে একটি কর্মক্ষেত্র ও সুন্দর জীবন।