অটিজ়ম নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে কি ঘরে ঘরে? বড়রা সতর্ক হলে শিশুদের কতটা সুবিধা হয়?

আনন্দবাজার (ভারত) প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩০

রাইমার ছেলের বয়স যখন ৩ বছর, তখন তিনি খেয়াল করলেন, সে কোনও কথাই বলতে পারছে না। অথচ ওর বয়সি অন্য শিশুরা এর মধ্যেই দিব্যি ‘বাবা-মা-দাদা’ ডাকছে। কেউ কেউ তো আবার ছোট ছোট শব্দে বকবকও করে যাচ্ছে অনায়াসে। কিন্তু রাইমার ছেলে কেমন চুপচাপ তাকিয়ে থাকে। কথা বলা তো দূর। চিন্তার ভাঁজ রাইমার কপালে। এরই মধ্যে কেউ বলেছিল ‘স্পিচ থেরাপি’ করাতে, আবার কেউ ‘হিয়ারিং টেস্ট’ করানোর পরামর্শ দেন। কোনওটিই বাদ দেননি। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। শেষে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান ছেলেকে। আর তখনই জানতে পারেন, তাঁর ছেলে ‘অটিস্টিক স্পেকট্রাম সিনড্রোম’-এর শিকার।


মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যার নাম অটিজ়ম। ২ এপ্রিল ‘বিশ্ব অটিজ়ম দিবস’। সংবাদমাধ্যম হোক কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান— নানা জায়গাতেই এই দিনটি পালন করা হয়। সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে আয়োজিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মসূচি।


একটা সময় ছিল যখন প্রাথমিক ভাবে বাচ্চার চোখ বা কানের পরীক্ষার কথা বললেই অনেক অভিভাবক তা মানতে পারতেন না। সন্তানের মধ্যে কোনও প্রতিবন্ধকতা আছে, তা মেনে নেওয়া তো পরের কথা। খুদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক আচরণ দেখেও অনেকেই মনে করতেন, বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। চারদিকে অটিজ়ম নিয়ে এত প্রচারের ফলে কি ছবিটা আদৌ বদলেছে?


বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য ‘প্রদীপ’ নামের একটি স্কুল চালান মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ধরে অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘‘আগের তুলনায় অভিভাবকদের মধ্যে অটিজ়ম নিয়ে সচেতনতা অনেক বেড়েছে। আগে শিশুদের অনেক বড় বয়সে এই সমস্যা ধরা পড়ত। তবে এখন শিশুদের ছোট বয়স থেকেই বাবা-মায়েরা সতর্ক হচ্ছেন। দুই-আড়াই বছর বয়সের শিশুরাও বাবা-মায়েদের হাত ধরে এখন আমাদের স্কুলে আসছে। আগে ৬ থেকে ৭ বছর বয়স পার করে যখন সন্তানের সমস্যা অত্যধিক ভাবে চোখে পড়ত, তখনই অভিভাবকরা সন্তনকে ‘স্পেশ্যাল স্কুল’-এ ভর্তি করানোর কথা ভাবতেন। ছবিটা এখন অনেকটাই বদলেছে। সচেতনতা না বাড়লে এমনটা সম্ভব হত না। কেবল আমাদের মতো সংস্থাই নয়, সরকারি স্তরেও অটিজ়ম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে অনেক রকম কাজ হচ্ছে। সরকার অটিজ়ম স্ক্রিনিং টুল তৈরি করেছে। আশাকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায় শিশুদের উপর নজর রাখার জন্য। কোনও শিশুর এ রকম সমস্যা হলে কী ভাবে বাবা-মায়েরা তাঁদের সহায্য করবে, সে বিষয়ে জানাতে আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।’’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us