গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মাধ্যমে পায়রাকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের বৃহৎ লজিস্টিক হাবে রূপ দেয়ার লক্ষ্য ছিল সরকারের। কিন্তু ভৌগোলিক ও প্রতিবেশগত চ্যালেঞ্জের কারণে পায়রাকে ঘিরে নেয়া পরিকল্পনাগুলো এখন পর্যন্ত সেভাবে ফলদায়ী হয়ে উঠতে দেখা যায়নি। স্থান বদলে সাধারণ সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলেও এখনো জাহাজ ভেড়ানোর জায়গা হিসেবে খুব একটা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেনি পায়রা বন্দর।
বন্দর হিসেবে পায়রার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকায় বাণিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক উপযোগিতা বেড়েছে মোংলা বন্দরের। আঞ্চলিক ভূরাজনীতির দুই প্রতিযোগী দেশ ভারত ও চীন—উভয়ই এখন বন্দরটি নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বন্দরটি ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে দুই দেশই। এগিয়ে আসছে মোংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ নিয়ে। মোংলা বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আনুষ্ঠানিক চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে চীনের সঙ্গেও। প্রতিযোগিতা থাকলেও এখন পর্যন্ত বন্দরে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে দুই দেশের কোনোটিই একে অন্যের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রদর্শন করেনি।