শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি হলো আত্মার দারিদ্র্যমোচনকারী। কিন্তু শিল্প, সাহিত্য তো সমাজকেও পরিচালিত করে। সেই জায়গা থেকে দারিদ্র্য ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে, সামাজিক বৈষম্য ও অসংযমকে বাড়তে দিয়ে আড়ম্বরপ্রধান সমাজ ব্যবস্থাকে মেনে নিলে সমাজ থেকে সত্যই হারিয়ে যায়। মানুষের উৎকর্ষ প্রকাশ পায় শিল্পে। তাকে ধ্বংস করা মানে অশিক্ষায় প্রত্যাগমন। সচেতন মানুষের কর্তব্য ধ্বংসের প্রতিবাদ জানানো। এর জন্য চাই সচেতনতা, শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা।
কথাগুলো এলো একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’ সম্প্রতি এই কথাগুলো বলে দেশের খ্যাতিমান নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ বেকায়দায়ই পড়েছেন বলতে হবে।