সতেজ, রসালো এবং সুগন্ধযুক্ত টমেটো পেতে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
কাঁচা টমেটো দিয়ে নানান পদের তরকারি তৈরি করা যায়। আর পাকা টমেটো দিয়ে সালাদ খাওয়ার পাশাপাশি তৈরি করা যায় সস কিংবা চাটনি।
তবে বাজার থেকে কিনে আনা টমেটো বাসায় বেশি দিন রাখলে সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ফ্রিজে রাখা ভালো পন্থা। তবে জানতে হবে কৌশল।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘লাইন কুক’ ফিবি ফ্রাই বলেন, “টমেটো না পাকা পর্যন্ত রান্না ঘরে রাখাই ভালো। কিছুটা নরম ও সুগন্ধযুক্ত হলে রেফ্রিজারেইটরে রাখলে প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সতেজ থাকবে।”
ফ্রিজে রাখতে চাইলে
ফিবি বলেন, “রেফ্রিজারেইটরে রেখে সংরক্ষণ করা যায়। সেক্ষেত্রে টমেটোর পরিপক্কতা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।”
ঠাণ্ডা অবস্থা টমেটো দ্রুত পাকা রোধ করে। কাঁচা টমেটো রেফ্রিজারেইটরে রাখলে খুব একটা অবস্থার পরিবর্তন ঘটে না। আর যতটা সুস্বাদু হওয়ার কথা ততটা হয় না।
তাই টমেটো সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পাকা টমেটো বাছাই করা ভালো।
খুব বেশি পাকা টমেটোর পচনশীলতা কমাতে টমেটোর চাটনি বা সস তৈরি করে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। আর টমেটো খাওয়ার আগে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় নিয়ে এসে খেলে ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।
কাটা টমেটো ফ্রিজে রাখার আগে
খোসা টমেটোর ভেতরের অংশ রক্ষা করে। তবে কাটা টমেটো কিছু অবশিষ্ট থাকলে তা ‘কুকিং প্লাস্টিক’য়ে পেঁচিয়ে রেফ্রিজারেইটরে রাখা যেতে পারে। টমেটোর কাটা অংশের দিকটা প্লাস্টিক দিয়ে জোড়ালো-ভাবে পেঁচিয়ে বাকিটা হাল্কাভাবে মুড়ে নিতে হবে।
এরপর কাটা অংশের দিকটা ছোট একটি প্লেটের ওপর বসিয়ে রেফ্রিজারেইটরে রাখলে বেশ কয়েকদিন ভালো থাকবে।
টমেটো বরফে জমাট করতে চাইলে
পাকা টমেটো ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ‘ফ্রিজার প্রুফ’ বাক্স বা ব্যাগে রেখে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। এতে টমেটো দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
হিমায়িত টমেটো খাওয়ার আগে একটি পানি ভর্তি বাটিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। কয়েক মিনিট পরে এর খোসা আগলা হয়ে আসলে সহজেই তা ছাড়িয়ে নেওয়া যাবে।
এরপর সেটা দিয়ে সস বানিয়ে পছন্দসই খাবার যেমন- পাস্তা, সালাদ বা স্যান্ডউইচে ব্যবহার করা যাবে।