দেহের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের অন্যতম ভিটামিন। ভিটামিনেরও নানা রকমফের আছে। একেক ভিটামিন একেক কাজে লাগে। শরীরে কোনো ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে নানা লক্ষণ ফুটে ওঠে। অন্যান্য ভিটামিনের মতো মানবদেহে ভিটামিন বি১২’র গুরুত্ব অসীম। এটি শরীরের নানা কাজে লাগে।
লোহিত কণিকা তৈরি থেকে শুরু করে ডিএনএ– শরীরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু কোষের বিকাশে প্রধান ভূমিকা রাখে। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি, ভিটামিন বি১২ হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এই ভিটামিনটি মেজাজ ফুরফুরে রাখতে এবং বিষণ্নতা কাটাতে সাহায্য করে।
শরীরে ভিটামিন বি১২’র অভাবে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন– ঝিঝি
১. ভিটামিন বি১২ শরীরে স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরার মতো সমস্যা হয়। এ ছাড়া, দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে অনেকের পা অসাড় হয়ে যায়, এটিও শরীরে বি১২ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণে অনেক সময় স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়।
২. ভিটামিন বি১২ এর অভাবে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়। যেকোনো কাজ করার প্রতি অনীহাও হতে পারে।
৩. ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়াও শরীরে ভিটামিন বি১২’র অভাবের লক্ষণ।
৪. শরীরে ভিটামিন বি১২’র ঘাটতি হলে ত্বক প্রাথমিকভাবে বিবর্ণ দেখায়। এই ভিটামিনে অভাবে জন্ডিস কিংবা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৫. মুখে ঘন ঘন আলসার হলেও সতর্ক হতে হবে। এটিও শরীরে ভিটামিন বি১২’র ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
৬. ভিটামিনটির অভাবে হাঁটার সময় ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হতে পারে।
৭. ভিটামিন বি১২’র অভাবে রক্তশূন্যতা হয়। এতে শ্বাসকষ্ট ও ক্ষুধা কমে যায়। দৃষ্টির সমস্যা, বদহজম এবং মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায় যেসব খাবারে
মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার থেকে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রাণিজ আমিষ থেকেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগে আক্রান্ত বয়স্ক মানুষ এবং নিরামিষাশী ও ডায়াবেটিসের রোগীদের ভিটামিন বি১২’র ঘাটতি দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি।