অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ১৭ দিন আগে, মৃত্যুর পর জানলো পরিবার

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩, ২১:১৪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার। তবে গত ১৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়লেও তার স্বজনদের বিষয়টি জানাননি স্বামী আরিফ হোসেন।


রোববার (২৬ মার্চ) রাতে ফাতেমার মৃত্যুর পর সোমবার ভোরে তার পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। আরিফ তার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ফাতেমার পরিবারকে কিছু জানাননি বলে অভিযোগ স্বজনদের।


সোমবার বিকেলে ফাতেমার বড় ভাই মুন্না বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ করে মরদেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছেন। নিহত ফাতেমা আক্তার (৩২) ফতুল্লার দাপা ইদ্রাতপুর সর্দার বাড়ির মৃত মোসলে উদ্দিনের মেয়ে।


এর আগে গত ৯ মার্চ ফতুল্লার লালপুর কাজী বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়ে ফাতেমা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে গত রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।


ফাতেমার বড় ভাই মুন্না বলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার আলী আহম্মদের ছেলে আরিফ হোসেনের (৩৫) কাছে ১৫ বছর আগে ফাতেমাকে বিয়ে দিই। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নানাভাবে ফাতেমাকে নির্যাতন করতো স্বামী। তাদের সংসারের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। সম্প্রতি ইজিবাইক কেনার জন্য এক লাখ টাকা ফাতেমার কাছে দাবি করেন আরিফ। সেই টাকা ফাতেমা দিতে পারেনি বলে তার ওপর নির্যাতন চালান আরিফ। বিষয়টি তাদের বাড়ির আশপাশের অনেকেই জানে।


তিনি আরও বলেন, যৌতুকের টাকা না পেয়ে কেরোসিন ঢেলে ফাতেমার শরীরে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আরিফ ও তার পরিবারের লোকজন। বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় ফাতেমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আমাদের কাউকে কিছু জানায়নি। খবর পেয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে ময়নাতদন্ত করিয়েছি। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।


ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, এ ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us