কঠিন শর্তে আরও চীনা ঋণ নিচ্ছে সরকার

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৭

আবারও চীনের কাছ থেকে কঠিন শর্তে ৫০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। রাজশাহী ওয়াসার পানি শোধনাগার এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জাহাজ কেনার প্রকল্পে এ অর্থ আসছে। এর মধ্যে রাজশাহী ওয়াসার পানি শোধনাগার প্রকল্পের ঋণের দর-কষাকষি শেষ। আগামী মাসে ঋণচুক্তি হবে। অন্যটির দর-কষাকষি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ দুটি প্রকল্পে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া হচ্ছে।


এসব ঋণের শর্ত হলো চীনের এক্সিম ব্যাংকই প্রকল্পের ঠিকাদার ঠিক করে দেবে। সুদের হার সোয়া ২ শতাংশের মতো হলেও ঋণ পরিশোধের সময় মাত্র ১৫ বছর। এ ছাড়া গ্রেস পিরিয়ড পাঁচ বছর। অর্থাৎ ২০২৩ সালে ঋণচুক্তি হলে ২০২৭ সাল থেকে ঋণ পরিশোধ শুরু হবে। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বেশ কম বলে ঋণের কিস্তির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হয়। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো সংস্থা থেকে ঋণ নিলে ৩০-৩৫ বছরে পরিশোধ করতে হয়।


অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী ওয়াসার জন্য ভূ–উপরিস্থ পানি শোধনাগার স্থাপনের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে সাড়ে ২৭ কোটি ডলার ঋণ নেওয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহে এক্সিম ব্যাংক ও ইআরডির কর্মকর্তারা এ ঋণ নিয়ে দর-কষাকষি চূড়ান্ত হয়েছে। এখন ঋণচুক্তির দলিলপত্র তৈরি করা হচ্ছে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই উভয় পক্ষের মধ্যে ঋণচুক্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন ইআরডির কর্মকর্তারা। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে এ দর-কষাকষি হয়েছে।


অন্যদিকে দুই বছর ধরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জন্য ছয়টি জাহাজ কেনার প্রকল্প নিয়ে আলোচনা শেষ হয়নি। এ প্রকল্পে ২৫ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হতে পারে। ঋণচুক্তি হলে চার বছরের মধ্যে এসব জাহাজ সরবরাহ করবে চীন। এটা সরবরাহকারী ঋণ। চীন টাকা দেবে, জাহাজও দেবে।


এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও ইআরডি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইআরডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঠিকাদার নিয়োগ, কাজের মান, সুদের হার, ঋণ পরিশোধের সীমা—এসব বিদেশি সহায়তাপুষ্ট অন্য প্রকল্প থেকে ভিন্ন। তাই সংবেদনশীলতা বিবেচনায় দর-কষাকষিতে সময় লাগে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us