স্বাস্থ্য সংক্রান্ত হাজারো শঙ্কার পরও তেল ছাড়া রান্নার কথা ভাবা যায় না ৷ রান্নায় স্বাদ বাড়াতে তেলের জুড়ি নেই। স্বাদের জন্য মাঝে মাঝে খাবারে একটু বেশি তেল দিতে হলেও স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে রান্নায় তেল ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত।
রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাতে ছোট ছোট কিছু নিয়ম মানতে পারেন। যেমন-
১. অনেকের ধারণা, স্বাস্থ্যের জন্য লোহা বা মাটির বাসন ভালো ৷ তবে তেলের ব্যবহার কমাতে ননস্টিক বাসনপত্রই ভরসা ৷ সেক্ষেত্রে ননস্টিক বাসন কিনলে অবশ্যই নামি ব্র্যান্ডের জিনিস কেনা উচিত। এতে তেল খরচ কম হবে।
২. তেল ব্যবহারের সময় চামচ ব্যবহার করুন ৷ অনেকেই পাত্র থেকে সরাসরি কড়াই বা রান্নার পাত্রে তেল ঢালেন ৷ সেটা করলে তেল বেশি খরচ হয়ে যায় ৷ তাই চেষ্টা করুন চামচে করে পরিমাণমতো তেল রান্নায় দিতে ৷
৩. তেল বেশি হলে রান্না সুস্বাদু হয় ৷ সময়ও কিছুটা কম লাগে ৷ তবে কম তেলেও ভালো রান্না সম্ভব ৷ সেজন্য প্রয়োজন রাঁধুনির দক্ষতা এবং অবশ্যই ধৈর্য ৷
৪. রান্নার জন্য এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করুন। এই যন্ত্রের সাহায্যে একেবারে অল্প তেল ব্যবহার করে ভাজা পোড়া করতে পারবেন। এটি খাবারের চারপাশে গরম বাতাস প্রয়োগের মাধ্যমে খাবার রান্না করে। সম্পূর্ণ তেলবর্জিত না হলেও তুলনামূলকভাবে অনেক কম হবে রান্নায় তেলের ব্যবহার ৷ এছাড়া মাঝেমধ্যে মাইক্রোওয়েভও রান্না করতে পারেন। এতেও তেল কম খরচ হবে।
৫. খুব প্রয়োজন না হলে ডুবো তেলে ভাজা বা ডিপ ফ্রাই করবেন না ৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেছে নিন শ্যালো ফ্রাইয়ের সুযোগ ৷ পাত্রের মুখ ঢেকে রান্না করার অভ্যাস বজায় রাখুন ৷ তাহলে গ্যাসের ব্যবহার কমে যাওয়ার পাশাপাশি রান্নায় তেলের প্রয়োজন কমে ৷
৬. তরিতরকারি রান্নার ক্ষেত্রে আগে সব্জি সামান্য ভাপিয়ে নেওয়ার রীতি অনেক বাড়িতেই প্রচলিত ৷ এতে তেল কম লাগে ৷ বাজারে নানারকম স্টিমারও পাওয়া যায় ৷ রান্নার সাজসরঞ্জামের মধ্যে সেটাও রাখতে পারেন ৷