বিচারক যেহেতু ন্যায়বিচার করেন, সেজন্যে তাঁকে বলা হয় ধর্মাবতার। বিচারকের দিকে সারা দেশ, সারা বিশ্ব এবং বিচারপ্রার্থীরা তাকিয়ে থাকেন; কেননা, ন্যায়ের দণ্ড তাঁর হাতে। কিন্তু সেই বিচারক যদি নিজেই অবিচার করেন, অধর্ম করেন, নিজেই মানবিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেন, তাহলে আমরা যাব কোথায়? একটি সমাজে মানুষ যাদের অনুসরণ করে মোটা দাগে তাঁরা হচ্ছেন শিক্ষক, বিচারক, চিকিৎসক এবং অসাম্প্রদায়িক, প্রাজ্ঞ ও মানবিক বোধসম্পন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা।
এঁদের মধ্যেও বিচারক ও শিক্ষকের রয়েছে উঁচু মর্যাদা। বিশেষ করে আমাদের বিচারিক ব্যবস্থায়, যেটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের তৈরি এবং যেটি কমন ল’ সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত, একজন বিচারককে ‘ইওর অনার’, ‘মাই লর্ড’ (এটির সঙ্গে আমার দ্বিমত আছে) বা ধর্মাবতার বলে, সেখানে বিচারককে অত্যন্ত উচ্চ আসনে বসানো হয়েছে। আগেকার দিনে বাবা-মায়েরা তাদের ছেলেকে ‘জজ-ব্যারিস্টার’ বানানোর স্বপ্নে বিভোর থাকতেন।