সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আকস্মিক টর্নেডোয় কালিন্দি নদীতে নিখোঁজ জেলে রুহুল আমিনের (৫০) মরদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে ভাটার সময় রুহুল আমিনের মরদেহ কালিন্দি নদীর ভারতীয় অংশের শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সামনের চরে পড়ে ছিল।
বিষয়টি শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের নিশ্চিত করার পর ডুবুরি নিয়ে তারা ১৪-১৫ জনের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধারের জন্য সেখানে যায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই জোয়ারের তোড়ে মরদেহ আবার ভেসে যায়।
তিনি বলেন, তারা এখনো উদ্ধার অভিযানে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে আকস্মিক টর্নেডোয় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ও রমজাননগর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম। এ সময় শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং তিন শতাধিক বাড়িঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়। একই সময় কালিন্দি নদীতে নৌকা উল্টে তিন জেলে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে দু’জনকে নৌ-পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত রমজান আলী গাজীর ছেলে রুহুল আমিনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন জানান, রুহুল আমিনের মরদেহ ভাসতে দেখার খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।